সুবেদার সিদ্দিকুর রহমান (বাঘা সিদ্দিক) সিদ্দিকুর রহমান ভোলা জেলার বোরহানুদ্দিন উপজেলায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন এবং বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আগরতলা ষড়যন্ত মামলার একজন আসামি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি, চাকরি থেকে পালিয়ে যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী অঞ্চলে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন।সেসময় ভোলার পরিস্থিতি ছিল খুবই মারাত্মক। তাই ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল তাকে ভোলায় যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পাঠায়। ভোলায় এসে তিনি কাজী মোতাহার মাস্টার, রেজা-এ-করিম চৌধুরি (চুন্নু মিয়া), কাজী আহতাব উদ্দিন, হযরত আলী, আজিজল মিয়া, গিয়াস তালুকদারসহ প্রভৃতিকে নিয়ে, ভোলাকে হানাদার মুক্ত করার পরিকল্পনা করেন। ভোলা মুক্তকরনে- ২২ শে অক্টোবর বোরহানুদ্দিনের দেউলার যুদ্ধ এবং ২৭ শে অক্টোবর টনির হাট/ঘুইংগার হাটের যুদ্ধ সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃত।দেউলার যুদ্ধে হাই কমান্ড সিদ্দিকের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী দখলদার মুক্ত করে। ঐ যুদ্ধে ৬৪ জন পাক সেনা নিহত হয় এবং অনেককে বন্দি করা হয়। টনিরহাট যুদ্ধে প্রথমে হযরত আলী ও আজিজল মিয়া পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে কিন্তু তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছতে পারছিল না। তখন সিদ্দিক ও তার বাহিনী সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধে হানাদারদের পরাজিত করেন। ঐ স্থানে পাঁচ পাক সেনা নিহত হয় এবং বাকিরা ভোলায় পালিয়ে যায়। তাকে তার সহযোদ্ধারা কেউ কেউ হাই কামান্ড সিদ্দিক আবার কেউ কেউ বাঘা সিদ্দিক বলে ডাকতো। ঐ দুই যুদ্ধে অবশ্য ৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।